Update

***French President Hosts Reception for Human Rights Defenders at Élysée Palace***Human Rights Lawyer Shahanur Islam Joins Hands with ARDHIS for Bangladeshi LGBTQI Asylum Seekers in France***New Platform to Fight Discrimination Against LGBTQI+ Community in Bangladesh***Human Rights Advocates Meet with French Ambassador to the Council of Europe ***Bangladesh Needs to Make Further Progress Towards Gender Equality***JusticeMakers Bangladesh calls for justice and protection for religious minorities in Bangladesh***French Human Rights Ambassador Honours HR Defenders at Paris***JusticeMakers Bangladesh is deeply concerned over the harassment against student of Islamic University in Bangladesh***JusticeMakers Bangladesh urges to withdraw the ban of Prity's book "Jonmo O Jonir Itihas" immediately***JusticeMakers Bangladesh expresses deep concern, condemnation and protest over the vandalism 14 Hindu temples in Thakurgaon***JusticeMakers Bangladesh deeply concern over the threat of crossfire to the lawyer Aminul Gani Tito in Dhaka***JusticeMakers Bangladesh gravely concerns over the attacked on CEO of BELA***JusticeMakers Bangladesh gravely concerns over the disappearance of lawyer in Dhaka***JusticeMakers Bangladesh Urges Immidiate Release of Arrested Transgenders in Dhaka***JusticeMakers Bangladesh concerns over viciously attacked on lawyer Abdur Rashid Mollah at Dhaka***JusticeMakers Bangladesh gravely concerned over attacked on indigenous people at Bogura***JusticeMakers Bangladesh welcomes the decision of Metropolitan Magistrate to acquit four Transgenders in Dhaka***JusticeMakers Bangladesh Protests and concerns Over the Abduction and Torture of Two Trans-women in Meherpur***Shahanur Islam attended the 21st World Summit on Participatory Democracy at Grenoble, France***

Tuesday, March 1, 2011

চেয়ারম্যানের অভিযোগ : প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও জনবল পায়নি মানবাধিকার কমিশন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেছেন, চার মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরও জনবল পায়নি মানবাধিকার কমিশন। গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বিআইএইচআরের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

অনুষ্ঠানে বিআইএইচআরের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট শাহানুর ইসলাম সৈকত বলেন, ২০১০ সালে ১ হাজার ৬৫৩টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ২০১১ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে একই ঘটনা ঘটেছে ২০০টি। গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান রাইটস যৌথভাবে এ তথ্য প্রকাশ করে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি না। আমরা প্রত্যেকটি মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। সব ঘটনাকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যাবে না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব ঘটনা ঘটে এবং যেসব ঘটনা ঘটার পর রাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় থাকে সেগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যায়।

মিজানুর রহমান বলেন, আমরা বলছি না যে বর্তমানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না। তবে আগের তুলনায় অনেক কমেছে এটি বলতে পারি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালের জুন মাসে আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী একটি ফাইলে সই করেছেন। যাতে মানবাধিকার কমিশনে ২৮ জন জনবল নিয়োগের অনুমতি থাকার পরও আমলাদের কারণে এখন পর্যন্ত জনবল পাইনি। তারপরও যারা জনবল নিয়োগে গড়িমসি করছেন সেসব আমলাদের বলতে চাই আপনারা জনবল না দিলেও যে ক'জন আছে তাদের নিয়েই মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাব।
বিআইএইচআরের রিপোর্টের সমালোচনা করে মিজানুর রহমান বলেন, এত দ্রুত বহির্বিশ্বে রিপোর্ট না পাঠিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসুন। আমরা যদি সমাধান দিতে পারি তাহলে কেন বিদেশিদের কাছে যাবেন। প্রকাশিত রিপোর্টটি একটি সাদামাটা রিপোর্ট বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে নির্যাতিত কয়েকজন ব্যক্তিও তাদের নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরেন।

মূল প্রতিবেদনে এডভোকেট শাহানুর ইসলাম বলেন, ২০১০ সালে হিন্দু, আহমাদিয়া মুসলিম, দলিত, আদিবাসী ও পাহাড়ি সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ওপর বার বার নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ভূমি দখল, উচ্ছেদ, ধর্ষণ ও মন্দিরে হামলা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। পার্বত্য শান্তিচুক্তি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

তিনি বলেন, নারী নির্যাতন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা ২০১০ সালে ধারাবাহিকভাবে হুমকির মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় ক্ষমতাশালী অপরাধী ও সরকার কর্তৃক মিথ্যা অভিযোগ ও অপরাধে জড়িতকরণসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী দেশে ফিরে আসলে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে নিজেদের নির্বাসিত করে রেখেছেন।

পুলিশের অবহেলার কথা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, দুর্নীতি, পুলিশের অবহেলা, দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সার্বিক অভাব ২০১০ সালে তথ্যানুসন্ধানকৃত সব ঘটনায় দেখা গেছে। তিনি বলেন, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করায় রাজনৈতিকভাবে সংখ্যালঘু সমপ্রদায় বৃহৎ আকারে প্রতিনিধিত্ব করছে এবং এ বছরে নির্যাতন কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, যদি সরকার চূড়ান্তভাবে সবার জন্য মানবাধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য তার প্রদত্ত ওয়াদা বাস্তবায়ন না করে তাহলে ২০১১ সালেও ২০১০ সালের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

No comments:

Post a Comment