বাবা-মা'র ওপর অভিমান করে দুই বন্ধু এক সাথে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে! প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে পুলিশ এমন ধারণা করছেন। তারপরেও শতভাগ নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য। নদীর পাড়ে পরে থাকা দুই বন্ধুর মোবাইল ফোন ও স্যান্ডেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৯ জুলাই) শেরপুর থানা পুলিশ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে করতোয়া নদী থেকে কলেজ ছাত্র সামাম তাহমিদ (১৭) ও সাব্বির আহমেদ শিশির (১৭) নামের দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে একসাথে দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আতংকের পাশাপাশি শংকিত হয়ে পড়েন অনেকেই। তবে অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত তারা আত্মহত্যা করেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাব্বির ও সামাম একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু। দু’জনেই বাবা- মা'র নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলো। বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) দুই বন্ধু বগুড়া শহরে বেড়াতে যায়।
শহর থেকে রাত সাড়ে ১২টায় ফিরে সামামের বাসায় রাতযাপন করে দু'জনেই। পরদিন শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ৭টায় দু’জনে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর বাড়ির পার্শ্বে একটি দোকান থেকে কোল্ড ড্রিংকস কিনে সামাম তার মাকে ফোন দিয়ে দোকানে টাকা দিতে বলে। কিন্তু সামামের মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে তোর কাছে টাকা আছে। তখন সামাম তার মাকে বলে ঠিক আছে তোমাকে আর কোনদিন টাকা দিতে হবে না? এদিকে সাব্বির ও তার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলো। কিন্তু তার পরিবার তাকে টাকা দেয়নি। যে কারণে বৃহস্পতিবার বাসা থেকে অভিমান করে বের হয়ে সামামের বাসায় রাত যাপন করে সাব্বির। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সামামের মোবাইল ফোন দিয়ে সাব্বির তার মাকে ফোন দিয়ে আবারো ১০ হাজার টাকা চায়। কিন্তু সাব্বিরের মা টাকা দিবে না বলে জানায়। এরপর থেকে দুই বন্ধু তাদের পরিবারের ফোন আর রিসিভ করেনি। শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে সাব্বিরের বাবা সাব্বিরের মোবাইলে ফোন দিলে অজ্ঞাত এক শিশু ফোন রিসিভ করে। আর তখন থেকেই দুই বন্ধুর নিখোঁজের বিষয়টি পরিবার জানতে পারে। ওই শিশু বেলা ১২টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসা’র পিছনে নদীর পাড়ে খেলতে গেলে ২টি মোবাইল ফোন ও স্যান্ডেল দুইজোড়া পায়।
এদিকে সামাম তাহমিদের চাচা জানান, শুক্রবার সন্ধায় তাহমিদের বাবা মোজাফ্ফর হোসেন ছেলের মোবাইলে ফোন দিলে এক শিশু ফোন রিসিভ করে। ওই শিশু জানায় মোবাইল ফোনটি সে আলিয়া মাদ্রাসা’র পেছনে নদীর ধারে পেয়েছে। এরপর তিনি তাকে মোবাইলটি নিয়ে আসতে বলে তার কাছে শিশুটি মোবাইল ফোনটি পৌঁছে দেন। এরপর তিনি তার ছেলে নিখোঁজ মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
সামাম তাহমিদ (১৭) শেরপুর উপজেলার বারোদুয়ারি পাড়া গ্রামের মোজাফফর রহমানের ছেলে এবং শেরউড স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। অপরজন সাব্বির আহমেদ শিশির (১৭) গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর জামতলা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে এবং বগুড়া ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পরিবারে দেয়া তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক অনুসন্ধানে ধারণা করা হচ্ছে দুই বন্ধু বাবা- মা'র ওপর অভিমান করে এক সাথে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় নি। তারপরেও শতভাগ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
https://barta24.com/details/national/163987/two-friends-commit-suicide-by-boasting-about-their-parents
============================================================ Advocate Shahanur Islam | An Young, Ascendant, Dedicated Human Rights Defender, Lawyer and Blogger in Bangladesh, Fighting for Ensuring Human Rights, Rule of Law, Good Governance, Peace and Social Justice For the Victim of Torture, Extra Judicial Killing, Force Disappearance, Trafficking in Persons including Ethnic, Religious, Sexual and Social Minority People.
No comments:
Post a Comment