মানিকগঞ্জ ইনকাম ট্যাক্স বার এসোসিয়েশনের ৫ শিক্ষানবিস আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন মোহাম্মদ ওয়াসীম নামে একজন আয়কর আইনজীবী। গত ২৫ জুলাই জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদি মোহাম্মদ ওয়াসীম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন আয়কর পেশাজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত।
মামলার বিবাদীরা হলেন- সদর উপজেলার নবগ্রাম এলাকার গাজী হাফিজুর রহমানের ছেলে গাজী চন্দন, তার বড় ভাই গাজী মামুন, পুটাইল গ্রামের হেমন্ত সরকারের ছেলে জুগেশ চন্দ্র সরকার, হরিরামপুর উপজেলার বড় গোড়াইল গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে ফেরদৌস জামান মলি ও সাটুরিয়া উপজেলার তারাবাড়ী গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে রেজা জামান ঝিপু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ ওয়াসীম জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তালিকাভূক্ত আয়কর আইনজীবী। আসামীরা মানিকগঞ্জ ট্যাক্স বার এসোসিয়েশনে শিক্ষানবিস আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করে থাকেন।
এসোসিয়েশনে বসা নিয়ে ওয়াসীমের সাথে আসামীদের মনোমানিল্য চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২০ জুলাই বেলা ১২টার দিকে ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েনে তিনি প্রাকটিসের জন্য বসতে গেলে আসামিরা তাকে ওই কক্ষে বসতে না দিয়ে মারপিটের জন্য উদ্যত হয়। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তিনি তাদের কবল থেকে রক্ষা পান।
ভুক্তভোগী ওয়াসীম জানান, ট্যাক্স বারে বসা ওই ৫ জন কোনো তালিকাভুক্ত আইনজীবী নন। তারা সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে আয়কর আইনের ভুল ব্যাখ্যা করে সরকারি রাজস্বের প্রচুর ক্ষতি করছেন। অথচ আমি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তালিকাভুক্ত আইনজীবী হয়েও বারে বসে কাজের সুযোগ পাচ্ছি না। তারা অবৈধভাবে সেখানে বসে কাজ করছেন অথচ আমাকে সেখানে তারা কাজের সুযোগ দিচ্ছেন না।
তিনি আরো জানান, এখানে সনদ ছাড়া যারা বসে প্র্যাকটিস করে তারা তাদের সিনিয়রদের দোহাই দিয়ে ১২ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সিনিয়ররা কেউ এখানে বসেন না। তারা ঢাকায় প্র্যাকটিস করেন।
এব্যাপারে শিক্ষানবিস আইনজীবী গাজী চন্দন জানান, আমার বড় ভাই গাজী মামুন একজন তালিকাভুক্ত আইনজীবী। বার এসোসিয়েশনে জায়গা কম থাকায় আমাদেরই বসতে সমস্যা হয়। আমি আমার ভাইয়ের চেয়ারে বসে কাজ করি।
ফেরদৌস জামান মলি জানান, বার এসোসিয়েশনে বসার জায়গা নেই। আমাদের সনদ না থাকলেও আমরা আমাদের সিনিয়রদের সাথে কাজ করি।
ট্যাক্স বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী মামুন জানান, আমাদের এসোসিয়েশনে শতাধিক সদস্য রয়েছে। বারের ছোট্ট এই জায়গায় আমরা কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী এখানে বসি। আমাদের অবর্তমানে জুনিয়ররা আমাদের কাজ গুলো গুছিয়ে দেয়। ওয়াসীম আমাদের বারের সদস্য নন। তিনি মাঝে মাঝে আমাদের বারে এসে উদ্যতপূর্ণ আচরণ করেন। আমরা জায়গা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। তখন নতুন অনেকেই এখানে বসার সুযোগ পাবে।
এব্যাপারে সহকারী কর কশিনার মো: জলিছ মাহমুদ জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। সনদ থাকলে তাকে বসার সুযোগ দেয়া উচিত।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সায়েদুর রহমান জানান, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ করেছেন। আগামী ১৬ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
============================================================ Advocate Shahanur Islam | An Young, Ascendant, Dedicated Human Rights Defender, Lawyer and Blogger in Bangladesh, Fighting for Ensuring Human Rights, Rule of Law, Good Governance, Peace and Social Justice For the Victim of Torture, Extra Judicial Killing, Force Disappearance, Trafficking in Persons including Ethnic, Religious, Sexual and Social Minority People.
No comments:
Post a Comment