দেশের ৬৫ শতাংশ হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতনের শিকার। তাদের পারিবারিক সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা হয়। এ ছাড়া ৭০ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়ায় বেসরকারি সংগঠন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য রোধে পলিসি ব্রিফের (খসড়া) চ‚ড়ান্তকরণে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। সভায় ‘কাউকে বাদ দিয়ে নয়’ এই ¯স্লোগানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জীবনযাপনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনের পরিচালক (পলিসি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস) উম্মে ফারহানা জেরিফ কান্তার সঞ্চালনায় সভায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধ্যাপক মশিউজ্জামান ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পলিসি ব্রিফ (খসড়া) উপস্থাপন করেন কনসালট্যান্ট ওয়ালিউল মুসতাসিম মাতিন।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ নিজেদের ‘হিজড়া’ ও বাকি ২৭ শতাংশ ‘ট্রান্সজেন্ডার’ হিসেবে পরিচয় দেয়। এ ছাড়াও ৭০ শতাংশ হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য কর্মক্ষেত্রে এবং ৬৫ শতাংশ পরিবারে নির্যাতিত। এতে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়ে পড়ে এই জনগোষ্ঠী। কিছু পরিবারও তাদের স্বীকার করতে চায় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে ভাতার ব্যবস্থা করা হলে, পরিবারের সম্পত্তির ভাগে অংশ থাকলে ও পাঠ্যসূচিতে হিজড়াদের নিয়ে লেখা থাকলে তারা দেশের জন্য ভালো কিছু করবে।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় শোভা সরকার নামে এক ট্রান্সজেন্ডার বলেন, ‘পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে যখন দেখি আমার নারীসুলভ আচরণ, আমি একজন নারী, তখন থেকেই আমাদের প্রতি বৈষম্য শুরু হয়। এ আচরণের জন্যই আমরা বাড়িঘর, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। প্রতিটি অফিসে অন্তত একজন করে ট্রান্সজেন্ডার মানুষকে চাকরি দিলে রাস্তায় কোনো ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া থাকবে না।’
আরেক ট্রান্সজেন্ডার অনন্যা বণিক বলেন, বর্তমান সময়ে একটা সংখ্যাগরিষ্ঠ হিজড়া কমিউনিটি তৈরি হয়েছে, যারা ভিক্ষাবৃত্তি করতে চায় না। এসব মানুষ কাজ বা চাকরি করতে চায়। সমাজে বৈষম্য রোধ করতে চাইলে নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার মানুষকে নিয়ে আসতে হবে।
মূল খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ হিজড়া জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতনের শিকার
No comments:
Post a Comment